Bismillahitzone

বর্তমান সময়ে অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করে মার্কেটিং করে তার ব্যবসাকে  বৃদ্ধি করার জন্য।  যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট  খোলার পর মানসম্মত কনটেন্ট পাবলিশ করার পরেও আপনার প্রোডাক্টগুলি বিক্রি না হয় তাহলে, বুঝতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করা নেই। মূলত, আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথম পেজে আনতে গেলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করতে হবে। আজকের আলোচনার মূল বিষয় ওয়েবসাইট এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ওয়েবসাইট এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ

ওয়েবসাইট এসইও

এসইও এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। মূলত উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথম পেজে আনতে। সহজ ভাষায় ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথম পেজে দেখাতে যে পদ্ধতি ব্যবহার হয় তাকে এসইও বলা হয়। সাধারণত একজন এসইও এক্সপার্ট গুগলের শর্ত অনুযায়ী এবং গুগলের অ্যালগরিদম ব্যাবহার করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথম পেজে আনতে সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে ওয়েবসাইট এসইও করেন। মূলত, এসইও ৩ প্রকার। যেমন, 

  • হোয়াইট হ্যাট এসইও
  • ব্ল্যাক হ্যাট এসইও 
  • এবং গ্রে হ্যাট এসইও

হোয়াইট হ্যাট এসইও

সাধারণত গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সকল নিয়ম মেনে গুগলের অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমে আনতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হয়।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও 

মূলত গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সকল নিয়ম না মেনে অবৈধ উপায়ে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমে আনতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলে। তবে, ওয়েবসাইটকে সবার প্রথমে আনতে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করা খুবই খারাপ কাজ। যদিও এটি ব্যবহার করে তাড়াতাড়ি  সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমে আসা যায়। কিন্তু যদি একবার গুগল বুঝতে পারে তাহলে ওয়েবসাইটকে নিচের দিকে নামিয়ে দিবে। পরবর্তীতে ওয়েবসাইটকে উপরে উঠানো সম্ভব হবে না। 

গ্রে হ্যাট এসইও

সাধারণত ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলোকে র‍্যাংক করানোর জন্য হোয়াইট হ্যাট এসইও এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও দুটি পদ্ধতি সংমিশ্রণে ব্যবহার করা হয় তাকে গ্রে হ্যাট এসইও বলা হয়।

ওয়েবসাইট এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ওয়েবসাইটকে অর্গানিকভাবে র‍্যাংক করার জন্য ওয়েবসাইট এসইও করা অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র আপনার নিজের ওয়েবসাইট ছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের পরিচিতি বৃদ্ধি করতে ওয়েবসাইট এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ওয়েবসাইট এসইও করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড কেউ সার্চ করলে খুবি দ্রুত তার সামনে চলে আসবে। 

যদি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে তাহলে এসইও করার মাধ্যমে বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। তাহলে আপনার প্রোডাক্টগুলি বেশি বিক্রি হবে। আবার যদি আপনার কোন প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের পাবলিসিটি বৃদ্ধি করতে ওয়েবসাইট এসইও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট এসইওর গুরুত্বপূর্ণ ৪টি বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো,

  • কিওয়ার্ড র‍্যাংক
  • বেশি ট্রাফিক জেনারেট
  • ব্র‍্যান্ডিং সুবিধা
  • ব্যবসার প্রশার

কিওয়ার্ড র‍্যাংক

এসইও করার ফলে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো গুগলে র‍্যাংক করবে। অর্থাৎ, কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটে থাকা কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তাহলে সার্চ লিস্টে আপনার ওয়েবসাইট সবার প্রথম পেজে দেখাবে। 

বেশি ট্রাফিক জেনারেট

যদি কোন ওয়েবসাইটে এসইও করা হয় তাহলে প্রচুর পরিমানে অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যায়। মনে করেন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করেছেন। এখন যদি কেউ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটে থাকা কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন তার সামনে প্রথম পেজে আপনার ওয়েবসাইট চলে আসবে। তখন ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক জেনারেট হবে।

ব্র‍্যান্ডিং সুবিধা

যদি কোন ওয়েবসাইটে করা হয় তখন ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে থাকে। আর যদি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে থাকে তাহলে বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে। এতে করে ভিজিটরদের ভেতর ব্র‍্যান্ডিং তৈরি হচ্ছে। আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে অনেক মানুষ জানছে। যত বেশি মানুষ ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবে ততো ব্র‍্যান্ডিংয়ের সুবিধা হবে।

ব্যবসার প্রশার

ব্যবসার প্রশার ঘটাতে এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও করার মাধ্যমে আপনি যদি গুগলে একটা ভালো অবস্থানে থাকেন তাহলে দিন দিন আপনার ব্যবসার প্রশার ঘটতে থাকবে। যদি একবার আপনি সেল জেনারেট করতে পারেন এবং পাবলিসিটি পেয়ে যান। তাহলে আপনার ব্যবসার প্রশার ঘটতে দেরি লাগবে না। এসইও করার মাধ্যমে যত বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে ঠিক ততো বেশি বিক্রি হবে এবং ব্যবসার প্রশার হবে। আপনার ব্যবসার প্রশার ঘটে গেলে আপনাকে আর পিছন ফিরে দেখতে হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ কথা

যদি আপনার কোন প্রকারের ওয়েবসাইট থাকে যেমন, ব্লগ, ই-কমার্স অথবা বিভিন্ন সার্ভিস ইত্যাদি। তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য এসইও করতে হবে। এসইও করার ফলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করবে। আর ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করলে ভিজিটর বাড়বে এবং ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়বে। 

তবে আমার মতে এসইও করতে গেলে হোয়াইট হ্যাট এসইও করা উচিত। এতে করে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক পাওয়া যাবে এবং ওয়েবসাইটের কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। আর ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করলে গুগলের কাছে একবার ধরা পড়লে ওয়েবসাইট নিচে নামিয়ে দিবে এবং অনেক ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বাতিল করে দিতে পারে। তাই সঠিক ফলাফল পেতে অবশ্যই  হোয়াইট হ্যাট এসইও ব্যবহার করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাশিত প্রশ্নের উত্তর (FAQ) 

প্রশ্নঃ এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ এসইও গুরুত্বপূর্ণ। কারন, এসইও করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমে আসে।

প্রশ্নঃ এসইও করলে কি হবে?

উত্তরঃ  ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমে আসবে।

প্রশ্নঃ অন পেজ এসইও কি?

উত্তরঃ অন পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভেতরের কাজ।

প্রশ্নঃ বায়ার কেন এসইও করে?

উত্তরঃ ফলাফলে উচ্চতর স্থান পেতে বায়ার এসইও করে।

প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় SEM এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তরঃ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ।

প্রশ্নঃ এসইও এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তরঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

প্রশ্নঃ এসইও কাদের শিখতে হবে?

উত্তরঃ প্রতিটি ওয়েবসাইটের মালিকদের এসইও শিখতে হবে।

প্রশ্নঃ এসইও এর চারটি ক্ষেত্র কি কি?

উত্তরঃ যেমন,

  • অন পেজ এসইও
  • অফ পেজ এসইও 
  • টেকনিক্যাল এসইও 
  • এবং কন্টেন্ট এসইও 

লেখকের মন্তব্য

আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে আশা করি আপনি বুঝতে পেরছেন। তাই যদি আপনার কোন ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এসইও করে নিন। এতে করে আপনার ভিজিটর বেড়ে যাবে। তবে এসইও সার্ভিস নেয়ার আগে অবশ্যই সঠিক এজেন্সি অথবা এসইও এক্সপার্ট বেছে নিবেন। কারন, সঠিক এজেন্সি অথবা এসইও এক্সপার্ট আপনাকে সফলতা এনে দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *